মহান মে-দিবস
আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস : শ্রমিকশ্রেণির করণীয়

মহান মে-দিবস
আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস : শ্রমিকশ্রেণির করণীয়
আন্দোলন প্রতিবেদন
রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | অনলাইন সংস্করণ
৮ ঘণ্টা শ্রম-দিবসের ন্যায়সঙ্গত দাবিতে ১৮৮৬ সালে আমেরিকায় বস্ত্রকল শ্রমিকরা বিদ্রোহে ফেটে পড়েছিলেন। আমেরিকার শাসকশ্রেণির নির্দেশে তাদের পাহারাদার পুলিশ বাহিনী গুলি চালিয়ে রাজপথ রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে হতাহত করে শ্রমিকদের। গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকদের মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে অগাস্ট পাইস, এ্যালবার্ট পারসন, জর্জ অ্যাঞ্জেলেস ও এ্যাডলফ ফিশারের মতো শ্রমিক নেতৃত্বদের। শ্রমিকশ্রেণির আন্দোলনের চাপে নিরূপায় হয়ে মালিকদের প্রতিনিধি শাসকশ্রেণি ৮ ঘণ্টা শ্রমের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। শ্রমিকশ্রেণির আন্তর্জাতিক নেতা মহামতি ফ্রেডারিক এঙ্গেলস ১ মে-কে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবসের ঘোষণা দেন। তখন থেকেই বিশ্বজুড়ে মহান মে-দিবস শ্রমিকশ্রেণির অধিকার আদায়ে সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে দৃপ্ত শপথের প্রতীক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
এ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় ও ১৯৪৯ সালে চীনে বুর্জোয়াশ্রেণির শোষণের রাজত্বকে বিপ্লবের মধ্য দিয়ে উচ্ছেদ করে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল শ্রমিক-কৃষকসহ নিপীড়িত জাতি ও জনগণের রাজত্ব। লেনিন, স্ট্যালিন, মাও সেতুঙ-এর মৃত্যুর পর বিশ্বাসঘাতক বুর্জোয়া পথগামী ক্রুশ্চেভ-ব্রেজনেভ চক্র (রাশিয়ায় ১৯৫৩) ও দেঙ জিয়াও-পিং (চীনে ১৯৭৬)-এর নেতৃত্বে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
কিন্তু বিশ্বব্যাপী শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে শোষিত-নিপীড়িত জনগণের লড়াই বিরামহীন গতিতে চলছে। ভারত ও ফিলিপাইনে মাওবাদী গণযুদ্ধ হাজারো দমন, নিপীড়ন, ষড়যন্ত্র, গণহত্যা মোকাবেলা করে চলমান। বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশে দেশে বিপ্লবী সংগ্রাম গড়ে উঠছে। এমনকি চীন-রাশিয়াসহ সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোতে শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে সংশোধনবাদকে তীব্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
দুনিয়াব্যাপী শ্রমিক-শ্রমজীবী জনগণ অর্থাৎ সম্পদ-স্রষ্টা, উৎপাদক শ্রেণি, মানব কল্যাণমুখী বিনির্মাণকারীরা চরম শোষণ-জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে অবর্ণনীয় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। চরম বেকারত্ব, অতিরিক্ত খাবার খরচ, উপযুক্ত চিকিৎসা-বাসস্থান থেকে বঞ্চিত, এমনকি ন্যূনতম দাম্পত্য জীবনেও চরম অসুখী-অশান্তিতে নিমজ্জিত। নিকৃষ্ট স্বার্থান্বেষী সাম্রাজ্যবাদীদের আধিপত্য দখলের অন্যায় যুদ্ধের বলি হচ্ছেন লক্ষ-কোটি সাধারণ জনগণ।
বাংলাদেশেও গার্মেন্ট শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রমিক-কৃষক-শ্রমজীবী জনগণ গণতান্ত্রিক দাবিদাওয়া ভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রাম করছেন। গণ-অভ্যুত্থান হাইজ্যাকার সেনা সমর্থিত, সাম্রাজ্যবাদের অনুগত ইউনূস সরকার ক্ষমতায় বসেই আশুলিয়ায় যৌথবাহিনী দিয়ে গুলি চালিয়ে গার্মেন্ট শ্রমিক হত্যা করে প্রমাণ করেছে সে-ও হাসিনাসহ পূর্বতন সরকারগুলোর মতোই মালিকশ্রেণির স্বার্থই রক্ষা করছে। শ্রমিকের দুই/তিন মাসের বেতন না দিয়ে পালিয়ে যাওয়া দুর্নীতিবাজ লুটেরা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারী দেশদ্রোহী মালিকদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে শ্রমিকের পাওনা না মিটিয়ে, উল্টো গুলি চালিয়ে, হত্যা-গ্রেফতার-নির্যাতন করে কারাবন্দি করছে। সাম্রাজ্যবাদের যোগ্য দালাল হিসেবে বাহবা কুড়াচ্ছে।
রাস্তা থেকে বিল্ডিং, সাইকেল থেকে বিমান, এয়ারকুলার থেকে সকল ধাতব অধাতব যন্ত্র বা ইঞ্জিন, সুতা থেকে আরামদায়ক পোশাক, খনিজ সম্পদ, ঔষধ, খাদ্যসহ মানব কল্যাণে উৎপাদিত সকল সম্পদের নির্মাতা ও সত্যিকারের মালিক হচ্ছেন শ্রমিক-শ্রমজীবী জনগণ। কিন্তু পুনরুৎপাদনের জন্য বেঁচে থাকার নামমাত্র মজুরি ছাড়া আর কোনো মালিকানা বা ভোগের অধিকার শ্রমিকশ্রেণি এবং কৃষি-মজুরের নেই। মালিকশ্রেণির প্রতিজনের একদিনের মদ্য পানের খরচের সমান টাকা এক মাসের মজুরি হিসেবে তারা পান না। প্রাণনাশি মারণাস্ত্রের ঝনঝনানি ও অস্ত্রধারী বাহিনী দিয়ে মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক মালিক নামে ডাকাত গোষ্ঠী শ্রমিকের শ্রম লুটে সম্পদের পাহাড় গড়ছে। অথচ মে-দিবস আসলেই বুর্জোয়া সরকার মালিক-শ্রমিক ঐক্যের ধুয়া তুলে বাণী দেয়, নাচ-গানের আসর বসায় এবং শ্রেণি সংগ্রামকে আড়াল করে।
তাই শ্রমিকশ্রেণির করণীয় হচ্ছে– বুর্জোয়া সরকার ও মালিকশ্রেণির প্রতারণার ফাঁদ থেকে নিজেদের মুক্ত করার জন্য বুর্জোয়া রাজনীতি ও বুর্জোয়া নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করা। বহুবিধ স্বাধীন ট্রেডইউনিয়ন গড়ে, দাবিদাওয়া ভিত্তিক আন্দোলনের পাশাপাশি শ্রমিকশ্রেণির আদর্শ মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদে সজ্জিত হয়ে বিপ্লবী সংগঠনে সংগঠিত হওয়া। বুর্জোয়াশ্রেণির শোষণমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সমূলে উৎপাটিত করার জন্য বিপ্লবী সংগ্রাম গড়ে তোলা। শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত সহ নিপীড়িত জাতি ও জনগণের শত্রু সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ ও দালাল শাসকশ্রেণি উচ্ছেদ করে নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করে সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করা। তবেই মহান মে-দিবসের শহিদদের স্বপ্ন পূরণ এবং শ্রমিকশ্রেণি ও নিপীড়িত জনগণের মুক্তি হবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মহান মে-দিবস
আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস : শ্রমিকশ্রেণির করণীয়
৮ ঘণ্টা শ্রম-দিবসের ন্যায়সঙ্গত দাবিতে ১৮৮৬ সালে আমেরিকায় বস্ত্রকল শ্রমিকরা বিদ্রোহে ফেটে পড়েছিলেন। আমেরিকার শাসকশ্রেণির নির্দেশে তাদের পাহারাদার পুলিশ বাহিনী গুলি চালিয়ে রাজপথ রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে হতাহত করে শ্রমিকদের। গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকদের মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে অগাস্ট পাইস, এ্যালবার্ট পারসন, জর্জ অ্যাঞ্জেলেস ও এ্যাডলফ ফিশারের মতো শ্রমিক নেতৃত্বদের। শ্রমিকশ্রেণির আন্দোলনের চাপে নিরূপায় হয়ে মালিকদের প্রতিনিধি শাসকশ্রেণি ৮ ঘণ্টা শ্রমের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। শ্রমিকশ্রেণির আন্তর্জাতিক নেতা মহামতি ফ্রেডারিক এঙ্গেলস ১ মে-কে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবসের ঘোষণা দেন। তখন থেকেই বিশ্বজুড়ে মহান মে-দিবস শ্রমিকশ্রেণির অধিকার আদায়ে সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে দৃপ্ত শপথের প্রতীক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
এ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় ও ১৯৪৯ সালে চীনে বুর্জোয়াশ্রেণির শোষণের রাজত্বকে বিপ্লবের মধ্য দিয়ে উচ্ছেদ করে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল শ্রমিক-কৃষকসহ নিপীড়িত জাতি ও জনগণের রাজত্ব। লেনিন, স্ট্যালিন, মাও সেতুঙ-এর মৃত্যুর পর বিশ্বাসঘাতক বুর্জোয়া পথগামী ক্রুশ্চেভ-ব্রেজনেভ চক্র (রাশিয়ায় ১৯৫৩) ও দেঙ জিয়াও-পিং (চীনে ১৯৭৬)-এর নেতৃত্বে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
কিন্তু বিশ্বব্যাপী শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে শোষিত-নিপীড়িত জনগণের লড়াই বিরামহীন গতিতে চলছে। ভারত ও ফিলিপাইনে মাওবাদী গণযুদ্ধ হাজারো দমন, নিপীড়ন, ষড়যন্ত্র, গণহত্যা মোকাবেলা করে চলমান। বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশে দেশে বিপ্লবী সংগ্রাম গড়ে উঠছে। এমনকি চীন-রাশিয়াসহ সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোতে শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে সংশোধনবাদকে তীব্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
দুনিয়াব্যাপী শ্রমিক-শ্রমজীবী জনগণ অর্থাৎ সম্পদ-স্রষ্টা, উৎপাদক শ্রেণি, মানব কল্যাণমুখী বিনির্মাণকারীরা চরম শোষণ-জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে অবর্ণনীয় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। চরম বেকারত্ব, অতিরিক্ত খাবার খরচ, উপযুক্ত চিকিৎসা-বাসস্থান থেকে বঞ্চিত, এমনকি ন্যূনতম দাম্পত্য জীবনেও চরম অসুখী-অশান্তিতে নিমজ্জিত। নিকৃষ্ট স্বার্থান্বেষী সাম্রাজ্যবাদীদের আধিপত্য দখলের অন্যায় যুদ্ধের বলি হচ্ছেন লক্ষ-কোটি সাধারণ জনগণ।
বাংলাদেশেও গার্মেন্ট শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রমিক-কৃষক-শ্রমজীবী জনগণ গণতান্ত্রিক দাবিদাওয়া ভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রাম করছেন। গণ-অভ্যুত্থান হাইজ্যাকার সেনা সমর্থিত, সাম্রাজ্যবাদের অনুগত ইউনূস সরকার ক্ষমতায় বসেই আশুলিয়ায় যৌথবাহিনী দিয়ে গুলি চালিয়ে গার্মেন্ট শ্রমিক হত্যা করে প্রমাণ করেছে সে-ও হাসিনাসহ পূর্বতন সরকারগুলোর মতোই মালিকশ্রেণির স্বার্থই রক্ষা করছে। শ্রমিকের দুই/তিন মাসের বেতন না দিয়ে পালিয়ে যাওয়া দুর্নীতিবাজ লুটেরা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারী দেশদ্রোহী মালিকদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে শ্রমিকের পাওনা না মিটিয়ে, উল্টো গুলি চালিয়ে, হত্যা-গ্রেফতার-নির্যাতন করে কারাবন্দি করছে। সাম্রাজ্যবাদের যোগ্য দালাল হিসেবে বাহবা কুড়াচ্ছে।
রাস্তা থেকে বিল্ডিং, সাইকেল থেকে বিমান, এয়ারকুলার থেকে সকল ধাতব অধাতব যন্ত্র বা ইঞ্জিন, সুতা থেকে আরামদায়ক পোশাক, খনিজ সম্পদ, ঔষধ, খাদ্যসহ মানব কল্যাণে উৎপাদিত সকল সম্পদের নির্মাতা ও সত্যিকারের মালিক হচ্ছেন শ্রমিক-শ্রমজীবী জনগণ। কিন্তু পুনরুৎপাদনের জন্য বেঁচে থাকার নামমাত্র মজুরি ছাড়া আর কোনো মালিকানা বা ভোগের অধিকার শ্রমিকশ্রেণি এবং কৃষি-মজুরের নেই। মালিকশ্রেণির প্রতিজনের একদিনের মদ্য পানের খরচের সমান টাকা এক মাসের মজুরি হিসেবে তারা পান না। প্রাণনাশি মারণাস্ত্রের ঝনঝনানি ও অস্ত্রধারী বাহিনী দিয়ে মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক মালিক নামে ডাকাত গোষ্ঠী শ্রমিকের শ্রম লুটে সম্পদের পাহাড় গড়ছে। অথচ মে-দিবস আসলেই বুর্জোয়া সরকার মালিক-শ্রমিক ঐক্যের ধুয়া তুলে বাণী দেয়, নাচ-গানের আসর বসায় এবং শ্রেণি সংগ্রামকে আড়াল করে।
তাই শ্রমিকশ্রেণির করণীয় হচ্ছে– বুর্জোয়া সরকার ও মালিকশ্রেণির প্রতারণার ফাঁদ থেকে নিজেদের মুক্ত করার জন্য বুর্জোয়া রাজনীতি ও বুর্জোয়া নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করা। বহুবিধ স্বাধীন ট্রেডইউনিয়ন গড়ে, দাবিদাওয়া ভিত্তিক আন্দোলনের পাশাপাশি শ্রমিকশ্রেণির আদর্শ মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদে সজ্জিত হয়ে বিপ্লবী সংগঠনে সংগঠিত হওয়া। বুর্জোয়াশ্রেণির শোষণমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সমূলে উৎপাটিত করার জন্য বিপ্লবী সংগ্রাম গড়ে তোলা। শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত সহ নিপীড়িত জাতি ও জনগণের শত্রু সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ ও দালাল শাসকশ্রেণি উচ্ছেদ করে নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করে সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করা। তবেই মহান মে-দিবসের শহিদদের স্বপ্ন পূরণ এবং শ্রমিকশ্রেণি ও নিপীড়িত জনগণের মুক্তি হবে।
আরও খবর
- শনি
- রোব
- সোম
- মঙ্গল
- বুধ
- বৃহ
- শুক্র